মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পরিবেশকে বাঁচাতে হলে বন রক্ষার বিকল্প নেই। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যারা বনের জমি অবৈধভাবে দখল করে শিল্প-কারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে তা উচ্ছেদ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে হবে যারা কুঁড়েঘর নির্মাণ করে আছে সেখান থেকে নয়, বরং যারা বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, হাইরাইজিং বিল্ডিং নির্মাণ করে আছে সেখান থেকে। তবে যারা গরিব- বনের জমিতে বসবাস করছে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ না করার পরামর্শ দেন তিনি।
১০ জুন ফদুপুরে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘বনের জমির অবৈধ জবরদখল মুক্তকরণ, পরিবেশ দূষণ, নদী দখল ও দূষণ রোধকল্পে’ বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৮৭ সালে বনের গেজেট হয়েছে। বন বিভাগের জমির সঙ্গে ব্যক্তিগত জমির সীমানা জটিলতাসহ নানা সমস্যা রয়েছে। দেখা যায়- সিএসএ বন বিভাগের নামে কিন্তু এসএ রেকর্ড ব্যক্তির নামে, আবার এসএ, আরএসএ একটি জমির অর্ধেক বন বিভাগের নামে বাকি অর্ধেক ব্যক্তির নামে এই ধরনের নানা জটিলতা রয়েছে। এসব জটিলতা সমাধানের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যারা নদী দখল করে আছেন তাদেরকেও উচ্ছেদ করা হবে। বর্তমান সরকার কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। যারা অপরাধ করবে, দখল করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বেশিরভাগ কারখানার কোনো ইটিপি প্লান নেই। যা আছে তা বন্ধ করে রাখা হয়। যার কারণে কারখানার দূষিত তরল বর্জ্য নদী-নালা, খাল-বিলে পড়ে পানি দূষিত হচ্ছে। এসব বিষয়েও নজর দেয়া দরকার। এখানে বিভিন্ন শিল্প-কারখানার প্রতিনিধিরা আছেন। আপনারা প্রতিটি কারখানায় ইটিপি প্লান সচল রাখুন। যাতে নদী-নালা, খাল-বিলের পানি দূষিত না হয়।
গাজীপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালিয়াকৈর উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম।