কোথাও প্রতিকার না পেয়ে পরীমনি লিখেছেন, ‘আমি চুপ করে থাকতে পারি না। আজ আমার সঙ্গে যা হয়েছে, তা যদি “আমি মেয়ে”, “লোকে কী বলবে” এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো। আফসোস ছাড়া কারও কী করার থাকবে তখন! আমি তাদের মতো কি চুপ করে থাকতে পারি, মা? আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোনো অন্যায় মেনে নিতে!’
শৈশবে মা হারানোর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মা যখন মারা যান, তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এত দিনে কখনো আমার এক মুহূর্ত মাকে খুব দরকার মনে হয়নি। আজ মনে হচ্ছে, ভীষণ রকম মনে হচ্ছে, মাকে দরকার, একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার। আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা। মা, আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।’
ঘটনা জানতে পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘আমি তো সবাইকে বলতেই চাই। ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে জানিয়েছি। তারা আমাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমি চার দিন ধরে অপেক্ষা করে আছি, কিন্তু কেউ আমাকে সাহায্য করেননি।’