ল্যাতিন আমেরিকার দুই জায়ান্ট ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। দুটি দলেই তারকার কোন কমতি নেই। গোলকিপার থেকে শুরু করে আক্রমন ভাগ পর্যন্ত পুরোটাই তারকায ঠাসা দল তাদের।
কিন্তু তারপরও বর্তমানে পারফর্মেন্সের মাপ কাঠিতে আর্জেন্টিনার চেয়ে আনেক এগিয়ে ব্রাজিল। কিন্তু কেন? কি তাদের মধ্যে পার্থক্য?
১. মেসি এবং নেইমার: ব্রাজিল জাতীয় দলে নেইমারের পারর্মেন্স দুর্দান্ত। ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে যাচ্ছেন তিনি যা দলের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেকটাই।
বিপরীতে লিওনেল মেসির পারফর্মেন্স যেন অনেকটাই ক্ষীন হয়ে পরেছে। সর্বশেষ ১৪টি ম্যাচে মাত্র একটি ওপেন প্লে থেকে গোল করেছেন তিনি।
২. আক্রমন ভাগ: ব্রাজিলের আক্রমন ভাগের তুলনায় আর্জেন্টিনার আক্রমন ভাগের তারকাদের নাম ডাক কোন অংশেই কম নয়। লাউটারো মার্তিনেজ, সার্জিও অ্যাগুয়েরু, লিওনেল মেসির মত সেরা সেরা স্ট্রাইকারদের বিপরীতে ব্রাজিলে আছে নেইমার, ফিরমিনো, জেসুস, রিচার্লিশনরা।
কিন্তু ক্লাবে ভুরি ভুরি গোল করলেও জাতীয় দলে কেমন যেন ম্লান হয়ে যায় আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকাররা। অন্যদিকে ক্লাবে যাই হোক, জাতীয় দলে ফিরলে যেন অন্য রুপ দেখা যায় ব্রাজিলিয়ান আক্রমন ভাগের তারকাদের।
৩. মিডফিল্ডারদের গোল: ব্রাজিলের দুর্দান্ত পথ যাত্রার অন্যতম কারণ দলটির মাঝমাঠ। প্রায়ই দেখা যায় এই দলটির মিডফিল্ডাররা গোল করছেন। আক্রমন ভাগের সঙ্গে মিডফিল্ডাররা গোলের খাতায় না লেখালে সেটা দলের জন্যই বাড়তি সুবিধা যা আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রে খুব বেশি দেখা যায় না।
৪. ডিফেন্স- দুই দলের ডিফেন্সের মধ্যে অবশ্যই এবং কোন সন্দেহ ছাড়াই ব্রাজিলিয়ানদের ডিফেন্স বেশি শক্তিশালী। তাই উপরের প্লেয়াররাও একটু নির্ভার হয়ে খেলতে পারে যা ব্রাজিলকে বাড়তি সুবিধা এনে দেয়।